হাজতখানায় দুই যুবকের সঙ্গে গোপন বৈঠক পাপিয়ার, পুরান ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের মহিলা কারাগারে যুব মহিলা লীগের
বহিষ্কৃত
নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে দুই যুবকের গোপন বৈঠক হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।তার সামনে দুই যুবক বসে আছেন।
পাপিয়া
কফি পান করছেন আর তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। দরজায় তালা দিয়ে নারী পুলিশ সদস্যদের পাহারা দিতেও দেখা যায়।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ dailypotrika.xyz
হাজতখানায় দুই যুবকের সঙ্গে গোপন বৈঠক পাপিয়ার
রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের নিচতলায় কারাগারের ড্রেসিংরুমে বৈঠক চলাকালে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে
ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন দুই যুবক। ঘটনা জানাজানি হলে কারাগারের ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাস পাপিয়াসহ তিনজনকে সতর্ক করেন।
আদালতের অনুমতি ছাড়া আসামির সঙ্গে দেখা করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে তিনি বলেন,
ওই দুজন আমাদের বিশেষ অতিথি।
পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে এনে দায়রা জজ আদালতের কারাগারে রাখা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার পর তাদের আদালতে তোলা হয়। মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন দুজন সাক্ষীও।
তবে তিনি অসুস্থ থাকায় বিচারক সাক্ষ্য দেননি
ভারপ্রাপ্ত বিচারক এএসএম রুহুল ইমরান সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ১৮ মার্চ ধার্য করেন। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।
দুপুর ১টার দিকে কারাগারের সামনে আদালতপাড়ার সাংবাদিকরা কারাগারের ড্রেসিংরুমের একটি বেঞ্চে পাপিয়া নারীকে বসে থাকতে দেখেন। তাকে খুশি দেখাচ্ছিল। তার সামনে বসে আছে দুই যুবক। পাপিয়া কফি খাচ্ছে আর কথা বলছে। মহিলা পুলিশ অফিসারদেরও দরজায় পাহারা দিতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি টের পেয়ে কারাগারের ইনচার্জ নৃপেন কুমার বিশ্বাস বাড়িতে প্রবেশ করেন। পাপিয়াসহ তিনজনকে সতর্ক করেন তিনি। এরপর তিনি বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
হাজতখানায় দুই যুবকের সঙ্গে গোপন বৈঠক পাপিয়ার
একপর্যায়ে তিনি সাংবাদিকদের চলে যেতে বলেন। কিছুটা উত্তেজনা হলে যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকে বের করে মহিলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তার সঙ্গে দেখা করতে বেরিয়ে এল দুই যুবক।
দুই যুবকের সঙ্গে পাপিয়ার সম্পর্ক কী এমন প্রশ্নের উত্তর প্রথমে কেউই দিতে চাননি। একজন পরে নিজেকে রাসেল বলে পরিচয় দেয় এবং দাবি করে যে পাপিয়া তার বোন। কেমন ভাই, জানতে চাইলে কোনো কথা না বলে চলে গেলেন। অপর যুবক এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।