বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে , ঢাকার ধামরাইয়ে বান্ধবীকে বিয়ে করতে না পেরে দুই বন্ধু মিলে পরিত্যক্ত বাড়িতে তাকে গণধর্ষণ
করার
অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামী ধামরাই থানায় মামলা করেছেন। এরপর তার প্রেমিক রিফাত হোসেনকে (২০) আটক করে পুলিশ।
তিনি
এখন পুলিশ রিমান্ডে আছেন।সম্প্রতি উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর করিম টেক্সটাইল কারখানার পূর্ব পাশে একটি পরিত্যক্ত ইটের
ভাটায়
এ ঘটনা ঘটে। তবে সোমবার পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ dailypotrika.xyz
বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে
ভিকটিম ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই তরুণীর সঙ্গে রিফাতের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে ওই তরুণী অন্যত্র বিয়ে করেন। ইতিমধ্যেই
গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন ওই তরুণী। সম্প্রতি বান্ধবীকে কাছে পেতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন রিফাত। ঘটনার দিন দুপুরে সে তার বান্ধবী
জোৎস্না ও জরিনাকে কারখানা থেকে ডেকে কালামপুর এনসি ইটভাটার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার দুই বন্ধু সুমন ও
সাইফুলসহ তার প্রেমিক রিফাত তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় জোৎস্না ও জরিনা আক্তার নামে দুই বান্ধবী তাদের পাহারা দিচ্ছিলেন।
পরে লোকজন বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বাড়ির ভেতরে তরুণীর চিৎকার শুনে জোৎস্না ও জরিনা পালিয়ে যায়। তারা দরজা বন্ধ করে
চিৎকার করলে ধর্ষকরা মেয়েটিকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং তার স্বামী সাব্বিরকে খবর দেয়।
সাব্বির এসে তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে সাব্বির বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে
ধামরাই থানায় মামলা করেন। মেয়েটির স্বামী সাব্বির হোসেন বলেন, আমার স্ত্রীর গর্ভে দেড় মাসের একটি শিশু রয়েছে। সেই শিশুটিও নষ্ট। তাই যারা আমার স্ত্রীর সাথে এমন অমানবিক কাজ করেছে তাদের শাস্তি চাই।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, অপারেশন) নির্মল কুমার দাস জানান, এ ঘটনায় থানায় গণধর্ষণের মামলা হয়েছে। মামলায় রিফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বাকিরা আসামি।
বরিশালের হিজলা উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে ভাড়ায় মোটরসাইকেল আরোহী ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার
দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির
পরিবার গভীর রাতে হিজলা থানায় আতাউল্লাহ মোল্লার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তবে অভিযুক্ত আতাউল্লাহকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত আতাউল্লাহ উপজেলার ভাড়ুয়া গ্রামের করিম মোল্লার ছেলে ও ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক।
বিয়ে করতে ব্যর্থ হয়ে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে
স্বজনরা জানায়, আতাউল্লাহ বেশ কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সোমবার ভারুইয়া গ্রামে আতাউল্লাহ স্কুলে যাওয়ার পথ অবরোধ করেন। আতাউল্লাহ তার মুখ চেপে ধরে পাশের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তিনি তার স্বজনদের ঘটনাটি জানান।
হিজলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তারেক হাসান রাসেল জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় পরিবার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।