দেরিতে আসার অভিযোগে ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন , একদিন মাদ্রাসায় না আসায় এবং পরের দিন একটু দেরি হওয়ায় শ্রীবরদীতে আসিফুল ইসলাম
বিজয় (১৫) নামে এক পূর্ণাঙ্গ হাফেজ ছাত্রকে তিন বেত দিয়ে পিটিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক। নুর হেরা নুরানী তালিম হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই
রাতেই আসিফুলকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।আসিফুল পূর্ব খরিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান খোকনের ছেলের কাছ থেকে ৭ বছর
পর
৩০ ডিসেম্বর মারা যান হাফিজ। অভিযুক্ত শিক্ষক শেরপুর শহরের উত্তর গৌরীপুর এলাকার মোঃ আব্দুল্লাহর ছেলে হাফিজ মোঃ আমানুল্লাহ (১৯)।
আরও খবর পেতে ভিজিট করুউঃ dailypotrika.xyz
দেরিতে আসার অভিযোগে ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন
ভিকটিম হাফেজ বিজয়কে জানান, তিনি মাঝে মাঝে খেলাধুলা করতে চান। তাই গত ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় আসেননি।
জোরে জোরে না পড়ায় মাদ্রাসার অন্তত ১৬ শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। দেরিতে মাদ্রাসায় আসার অভিযোগে পরে বিজয়কে মারধর করা হয়।
মাদ্রাসা থেকে বিজয়ের বাড়ির দূরত্ব আধা কিলোমিটার। মারধরের পর বিজয় বাড়িতে গিয়ে হুজুরের ভয়ে বাবা-মাকে বলতে সাহস পায়নি।
মসজিদের মুয়াজ্জিন মারধরের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন। সারা শরীরে ক্ষত দেখে তার বাবা-মা তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
ঘটনার দিন মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা
জাহেদুল ইসলাম সরকারি কাজে শেরপুরে ছিলেন।শাকিলা খাতুন বলেন, মূলত এই প্রদর্শনীটি একদিন আগে করার কথা ছিল। অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে একদিন পিছিয়ে আজ করা হচ্ছে। হিমেল একজন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের নাগরিক ছিলো। সাংস্কৃতিক সংগঠন ছাড়াও বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক অঙ্গসংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলো সে। একজন চারুকলার শিক্ষার্থী হিসেবে তাকে স্মরণীয় করে রাখাতে আজকের এই আয়োজন করা হয়েছে।
চারুকলা অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী আল আমিন ইসলাম রওনক বলেন, এখানে হিমেলের চিত্রকর্মের পাশাপাশি তাকে স্মরণীয় করে রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের করা চিত্রকর্মগুলো প্রদর্শন করা হবে।
মাদ্রাসা সূত্র জানায়, মাসখানেক আগে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মৌখিক আলোচনার ভিত্তিতে মাদরাসায় যোগ দেন আমানুল্লাহ। মাদ্রাসায় যোগদানকারী আমানুল্লাহর জীবনী বা ছবি নেই। মাদ্রাসায় যোগদানের পর সে ছাত্রদের চুনের রস পান করে শারীরিক নির্যাতন করত।
দেরিতে আসার অভিযোগে ছাত্রকে বেধড়ক পেটালেন
ছাত্রদের মারধরের বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান হাফেজ মাওলানা জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন তিনি মাদ্রাসায় ছিলেন না। বিষয়টা দুঃখজনক। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি করেন তিনি।
কমিটি মাদ্রাসায় মৌখিকভাবে এমন নিয়োগ দিয়েছে বলে দাবি করেন জাহেদুল ইসলাম।
ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরোজারা নাজনীন বলেন, বিষয়টি ‘মর্মান্তিক ও নিষ্ঠুর’। মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।